ইহরামের পূর্বে কর্মকাণ্ড
•নখ কাটুন, গোঁফ ছোট। 'করুন, বগল ও নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করুন।
•সম্ভব হলে গোসল করে নিন। তবে গোসল না করলেও কোন ক্ষতি নেই। গোসল করা নারী পুরুষ
উভয়ের জন্যই সুন্নাত। এমনকি নারীরা ঋতু অথবা প্রসব পরবর্তী অপবিত্র অবস্থায়ও গোসল
করা সুন্নাত।
•পুরুষগণ সেলাই করা সমস্ত কাপড় খুলে সেলাইবিহীন ইহরামের পোষাক পরবেন।
•মহিলাগণ নিকাব ও হাত মোজা খুলে ফেলবে। মাহরাম ব্যতীত অন্যান্য পুরুষ থেকে পর্দা
করার জন্য ওড়না দিয়ে চেহারা ও মাথা ঢেকে রাখবে। এতে ওড়না মুখের সাথে লাগা
দোষণীয় নয়।
•গোসলের পর সুযোগ হলে পুরুষ শুধু শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। ইহরামের পোষাকে কোন
সুগন্ধি ব্যবহার করবে না।
•মহিলাগণ এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে, যার সুভাষ বাহিরে ছড়ায় না।
•উপরোক্ত কাজগুলো শেষ করে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন প্রকার হজ্ব অথবা ওমর- ার কাজ শুরু
করার নিয়ত করবে। নিয়ত করলে তার ইহরাম সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, যদিও মুখে কিছুই
উচ্চারণ না করে। ইহরামের নিয়ত ফরজ সালাতের পরে হলেই ভালো। যদি ফরজ সালাতের সময় না
হয়, আর তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়তে দু'রাকাত সালাত পড়ে নেয়, তাতেও কোন বাধা নেয়।
আর যদি হজ্ব অথবা ওমরা অন্য কারো পক্ষ থেকে করার ইচ্ছা করে, তাহলে অন্যের পক্ষ থেকে
নিয়ত এভাবে করবে।" লাব্বাইক আল্লাহুম্মা আন ফুলান"। উল্লেখ্য: "...আন ফুলান" এর
স্থানে থেকে হজ্ব বা বামিরার নিয়ত করা হচ্ছে তার নাম উচ্চারণ করবে। যেমন:
লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান/ ওমরাতান আন মুহাম্মদ।