হজ
আরাফার দিনে হাজীদের জন্য আল্লাহ কী কী মর্যাদা ও ফযীলত রেখেছেন

(১) এ তারিখে দিনের বেলায়ই আল্লাহ তা‘আলা প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন। (২) আল্লাহর কাছে ঐ দিনের চেয়ে উত্তম আর কোন দিন নেই। (৩) বান্দাদের জন্য আল্লাহ তাঁর দয়ার ভান্ডার খুলে দেন। (৪) সেদিন আল্লাহ বান্দাদের অতি নিকটবর্তী হন। (৫) আরাফাতে অবস্থানকারী ও মাশআরুল হারাম- বাসীকে আল্লাহ সেদিন ক্ষমা করে দেন। (৬) উমর রাদিআল্লাহু আনহুর প্রশ্নের জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফায় আগমনকারীদের জন্য এ ক্ষমা প্রদর্শন কিয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে। (৭) যমীনবাসীদের নিয়ে আল্লাহ ফেরেশতাদের সাথে গৌরব করে বলেন, ‘‘আমার বান্দাদের দিকে তাকিয়ে দেখ তারা ধূলিমলিন অবস্থায় এলোকেশে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে আমার রহমতের আশায়, অথচ আমার আযাব তারা দেখেনি। কাজেই আরাফার দিনে এত অধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে আমি মুক্তি দিয়ে দিচ্ছি যা অন্যদিন তারা পায়নি। (৮) শয়তান ঐদিন সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিত, হীন ও নিকৃষ্ট বনে যায় এবং তাকে ক্রোধান্বিত দেখা যায়। বান্দাদের দোয়া কবূল ও যিকরের মাধ্যমে শয়তানকে বেদনাবিধুর করে দেয়া হয়। (৯) আল্লাহ সেদিন বলেন, এরা কি চায়? অর্থাৎ হাজীরা যা চায় তাই তিনি দিয়ে দেন। (১০) সেদিন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং রহমত বর্ষিত হয়।