দশ-ই- জিলহজ্ব (কুরবানীর দিন)
পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সমবেত মুস- লিমগণ মিনার
ময়দানে এক বিশেষ আবেগ নিয়ে ঈদুল আযহার এ মুবারক দিনটিকে স্বাগত জানায়। সবাই আল্লাহর
অনুগ্রহ পেয়ে আনন্দচিত্তে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কুরবানী করে। এই দিন জামরা
আকাবা তথা বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পরপরই হাজ্বী সাহেবগণ ঈদের তাকবীর বলা শুরু
করবেন। আর তা হলো-জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের সময় কোন কোন হাজ্বী সাহেব কিছু ভুল করে থাকেন। তন্মধ্যে
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-
* কেউ কেউ এ বিশ্বাস করেন যে, তারা শয়তানকে কঙ্কর মারছে, এ জন্য খুব ক্রোধ নিয়ে
শয়তানকে গালমন্দ করে কঙ্কর মেরে থাকেন। অথচ জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপের একমাত্র
উদ্দেশ্যে হচ্ছে আল্লাহর জিকিরকে সতেজ করা।
* আবার কেউ কেউ বড় পাথর, জুতা বা কাঠ ইত্যাদি নিক্ষেপ করে থাকেন। এটা দ্বীনের
কাজে বাড়াবাড়ি। আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়াবাড়ি করতে
নিষেধ করেছেন।
* কঙ্কর নিক্ষেপ করার সময় কেউ কেউ জামরার নিকট খুব ভিড়ের সৃষ্টি করেন, এমনকি
অনেকে মারামারি করেন। এটা মারাত্মক ভুল। হাজ্বী সাহেবদের উচিৎ, অপর ভাইয়ের সাথে
নম্র ব্যবহার করা। কঙ্কর নিক্ষেপের সময় কঙ্কর হাউজের ভিতর পড়েছে কিনা নিশ্চিত
হতে হবে। খুঁটিতে লাগা জরুরী নয়।
* কেউ আবার সাতটি কঙ্কর একসাথেই মেরে থাকেন। এমতাবস্থায় শুধুমাত্র একটি কংকর গণনা
করা হবে। নিয়ম হচ্ছে; এক এক করে কংকর মারা এবং প্রতিটি মারার সময় তাকবীর বলা।
“কুরবানীর দিন জামরা আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ, হাদী জবেহ (যাদের উপর কুরবানী বা হাদী
ওয়াজিব) ও মাথার চুল মুত্তন বা ছোট করা হয়ে গেলে হাজ্বী সাহেব প্রাথমিকভাবে হালাল
হয়ে যাবেন। এই হালালের পর ইহরামের কারণে তার উপর যে কাজগুলো নিষিদ্ধ ছিল সবগুলো তার
জন্য হালাল হয়ে যাবে, শুধুমাত্র স্ত্রী ছাড়া।“