হজ
আইয়ামে তাশরিকের ফজিলত

আইয়ামে তাশরীক বিষয়ে হাদিসে এসেছে, রসূলে কারিম (ﷺ)বলেছেন: আইয়ামে তাশরীক খাওয়া-দাওয়া ও আল্লাহ রাববুল আলামিনের জিকিরের দিন। ইমাম ইবনে রজব (রহ:) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় চমৎকার কথা বলেছেন। তিনি বলেন: আইয়ামে-তাশরীক এমন কতগুলো দিন যাতে ঈমানদারদের দেহের নেয়ামত ও স্বচ্ছন্দ এবং মনের নেয়ামত তথা স্বচ্ছন্দ একত্র করা হয়েছে। খাওয়া- দাওয়া হল দেহের খোরাক আর আল্লাহর জিকির ও শুকরিয়া হল হৃদয়ের খোরাক। আর এ ভাবেই নেয়ামতের পূর্ণতা লাভ করল এ দিন সমূহে। * তাশরীকের দিনগুলো ঈদের দিন হিসেবে গণ্য। * রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেন: আরাফা দিবস, কোরবানির দিন ও মিনার দিনগুলো (কোরবানির পরবর্তী তিন দিন) আমাদের ইসলাম অনুসারীদের ঈদের দিন। * এ দিনসমূহ জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের সাথে লাগানো। যে দশক খুবই ফজিলত-পূর্ণ। তাই এ কারণেও এর যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে। * এ দিনসমূহে হজ্জের কতিপয় আমল সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এ কারণেও এ দিনগুলো ফজিলতের অধিকারী।