রাসূলুল্লাহ (সাঃ)ও তাঁর দুই সাথির কবর যিয়ারতের আদব
এরপর বাইরে চলে আসুন। কেবলামুখী হয়ে বা কবরের দিকে মুখ করে দোয়া করবেন না। ইমাম
মালেক (রহ.) বলেন, ‘কবরের কাছে দোয়া করতে দাঁড়ানো আমি শুদ্ধ মনে করি না। তবে সালাম
দেবে, ও চলে যাবে যেমনটি করতেন ইবনে ওমর (রাঃ)। ইমাম ইবনুল জাওযি বলেন, ‘দোয়া করতে
কবরে যাওয়া মাকরুহ।
ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ একই মন্তব্য ব্যক্ত করে বলেন, ‘দোয়ার উদ্দেশ্যে কবরে যাওয়া
মাকরুহ। দোয়ার জন্য কবরের কাছে দাঁড়ানোও মাকরুহ।
তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও তাঁর সাথীদ্বয়ের (রাঃ) কবরের কাছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানো ও
নিজের জন্য দোয়া করা উচিৎ নয়। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে কেউই কবরের কাছে দাঁড়িয়ে
নিজের জন্য দোয়া করতেন বলে ইতিহাসে নেই। সাহাবাগণ, বরং, মসজিদে নববির যে কোনো
জায়গায় দোয়া করতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর হুজরা মুবারকের কাছে এসেও তাঁরা দোয়া
করতেন না।ইমাম মালেক (রহ.) মদিনাবাসীদের জন্য, যতবার মসজিদে প্রবেশ করবে ততবার, রাসূলুল্লাহ
(ﷺ)এর কবরে আসা ভালো মনে করতেন না। কেননা সালাফে-সালেহীনদের কেউই এরূপ করতেন না।
তাঁরা বরং মসজিদে নববিতে আসতেন। আবুবকর, ওমর, উসমান ও আলী (রাদি আল্লাহু আনহুম) এর
পেছনে সালাত আদায় করতেন।সালাতের মধ্যেই রাসূলুল্লাহর প্রতি সালাম পেশ করতেন।
বলতেন,