তাওয়াফের সময় ভুলত্রুটি
* তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করের জন্য বিশেষ কোনো দোয়া নির্দিষ্ট করা ও তা পড়া।
* তাওয়াফের সময় একজন নেতৃত্ব দিয়ে উচ্চ স্বরে দোয়া পড়া ও অন্যরা সমস্বরে তার
অনুকরণ করা।
* অনেকেই মনে করেন হাজরে আসওয়াদ চুম্বন না করলে হজ্জ অশুদ্ধ হবে, এ ধারণা ঠিক নয়।
বরং ভিড় না থাকার হালতে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন-স্পর্শ করা সুন্নত। পক্ষান্তরে
ভিড়ের সময় কেবল ইশারা করাই সুন্নত।
* কেউ কেউ রুকনে য়ামেনিকে চুম্বন করে থাকে। এটা শুদ্ধ নয়। বরং সম্ভব হলে কাউকে
কষ্ট না দিয়ে ডান হাত দিয়ে রুকনে য়ামেনিকে স্পর্শ করা ও স্পর্শের পর হাতে
চুম্বন না করা। স্পর্শ করা সম্ভব না হলে, এ ক্ষেত্রে, হাতে ইশারা করার কোনো
বিধান নেই।
* তাওয়াফের সময় কেউ কেউ কাবার দেয়াল স্পর্শ করেন অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)হাজরে আসওয়াদ
ও রুকনে ইয়ামেনি ছাড়া আর কিছু স্পর্শ করেনি।
* তাওয়াফের সময় কেউ কেউ হাতীমের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে থাকে। এরূপ করলে তাওয়াফ হবে
না। কেননা হাতীম পবিত্র কাবার অংশ হিসেবে বিবেচিত।
* অনেক হাজি তাওয়াফের সময় সাত চক্করেই রামল করেন এরূপ করা উচিৎ নয়। কেননা নিয়ম হল
কেবল প্রথম তিন চক্করে রামল করা, আর বাকি চক্করগুলোতে স্বাভাবিকভাবে চলা।
* তাওয়াফের সময় অনেকেই মাকামে ইব্রাহীমিকে হাত অথবা রুমাল-টুপি দিয়ে স্পর্শ করে
থাকে, এরূপ করা মারাত্মক ভুল।
বিদায়ি তাওয়াফের পর পবিত্র কাবার সম্মানার্থে উল্টো হেঁটে বের হওয়া সংগত নয়।
কেননা এরূপ করা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও সাহাবঅনেকের ধারণা-মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে ছাড়া
মসজিদের অন্য কোথাও তাওয়াফের দু’রাকাত সালাত আদায় করা যাবে না। এ ধারণা সঠিক নয়।