ওমরাহ করা সুন্নত না ওয়াজিব
ওমরাহ শুরু করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। তবে হজ্জের মত ওমরাহ আদায় আবশ্যিক কি-না সে
ব্যাপারে ইমামদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্মল (রাঃ)
এর নিকট ওমরাহ করা ওয়াজিব। এই অভিমতের পক্ষে বেশ কিছু হাদিসও রয়েছে তন্মধ্যে কয়েকটি
হল নিম্নরূপ—
• এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর কাছে এসে বললেন আমার পিতা খুব বৃদ্ধ। তিনি
হজ্জ-ওমরাহ করতে অপারগ, এমনকী সফরও করতে পারেন না। উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন,
‘তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও ওমরাহ পালন করো।
[আবু দাউদ : হাদিস নং ১৮১০]
• কোনো কোনো বর্ণনায় হাদিসে জিব্রিলের একাংশে এসেছে (وأن تحج وتعتمر -তুমি হজ্জ
করবে ও ওমরাহ করবে)
[ইবনে হিববান : হাদিস নং ১৭৩]
• আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করলেন, নারীর ওপর কি
জিহাদ ফরজ? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, তাদের ওপর জিহাদ আছে যে জিহাদে কিতাল
(যুদ্ধ) নেই। আর তা হল হজ্জ ও ওমরাহহ।
[ইবনে মাজাহ : হাদিস নং ২৯০১]
• হাদিসে এসেছে, ‘হজ্জ ও ওমরাহ দুটি ফরজ কর্ম। এতে কিছু যায় আসে না যে তুমি কোনটি
দিয়ে শুরু করলে।
[দারা কুতনী : হাদিস নং ২১৭ ]
• ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মতানুসারে ওমরাহ করা সুন্নত। প্রমাণ, জাবের (রাঃ) থেকে
বর্ণিত হাদিস: ওমরাহ করা ওয়াজিব কি-না রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
উত্তরে তিনি বলেছেন, না; তবে যদি ওমরাহ করো তা হবে উত্তম।
[আহমদ, তিরমিযি ]
উভয়পক্ষের দলিল প্রমাণ পর্যালোচনা করলে যারা ওয়াজিব বলেছেন তাদের কথাই
প্রাধান্যপ্রাপ্ত বলে মনে হয়।