নারী-পুরুষের ওমরাহ ধারাবাহিক বিস্তারিত নিয়ম ও দোয়া
প্রথম কাজ : ইহরাম বাঁধা (ফরজ)
নির্ধারিত মিকাত থেকে (সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে নেয়া। পুরুষরা সেলাইবিহীন
২টি কাপড় পরবে। আর নারীরা পর্দাসহ শালীন পোশাক পরবে। অতঃপর ২ রাকাআত নামাজ পড়ে
ইহরামের নিয়ত করে নেবে-
اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল ওমরাহতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’
অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি ওমরাহহ ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ
থেকে তা কবুল করুন।
তালবিয়া -
ওমরাহহ্র নিয়ত করার পরেই বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করবেন। তালবিয়া দলগত ভাবে পাঠ না
করে একক ভাবে পাঠ করতে হয়। পুরুষরা একটু উঁচু আওয়াজে তালবিয়া পাঠ করবেন যেন একে
অপরে শোনা যায়, কিন্তু মহিলারা মনে মনে পাঠ করবেন।
لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ اِنَّ
الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ:
লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈকা লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা
ওয়ান্ নি-আ মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক।
অর্থ:
আমি হাজির হে আল্লাহ ! আমি হাজির, আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন
অংশীদার নেই, নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য
আপনার, আপনার কোন অংশীদার নেই।
অতঃপর তালবিয়া পড়বে (১ বার তালবিয়া পড়া শর্ত)
তালবিয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়বে-
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ
غَضَبِكَ وَ النَّارِ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা
ওয়ান্নারি।
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসুন্তুষ্টি ও
জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন তারা বাসা কিংবা হজ ক্যাম্প থেকে ইহরামের
কাজ সম্পন্ন করে নেবে। পুরূষদের জন্য তালবিয়া পাঠের বিধান হল উচ্চস্বরে। আর নারীরা
পাঠ করবেন মৃদুস্বরে। তবে উভয়ের জন্যই তালবিয়া পাঠ অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।
মসজিদে হারামে প্রবেশ -
ওমরাহহ উদ্দেশ্যে মসজিদে হারামে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে এ দোয়া়
بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ
أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ
مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ
উচ্চারণ :
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া
বি-ওয়াজহিহিল কারিম ওয়া সুলতানিহিল কাদিমি মিনাশশায়ত্বানির রাজিম।
আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।
কাবা ঘর দেখে এ দোয়া পড়া-
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ
اَللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ تَكْرِيْماً وَ
مَهَاَبَةً وَ زِدْ مَنْ شَرّفَهُ وَ كَرّمَهُ مِمَّنْ حَجَّهُ وَاعْتَمَرَهُ
تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ بِرُّا
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস্সালাম।
আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তাশরিফান ওয়া তা’জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান;
ওয়া জিদ মান শার্রাফাহু ওয়া কার্রামাহু মিম্মান হাজ্জাহু ওয়া’তামারাহু তাশরিফান
ওয়া তাকরিমান ওয়া তা’জিমান ওয়া বির্রা।