নামাজের প্রাথমিক বিষয়াবলী

.

নামাযের আহকামসমূহ

যে ফরয কাজগুলো নামায শুরুর আগেই করতে হয়, সেগুলোকে নামাযের আহকাম বলা হয়। নামাযের আহকাম মোট সাতটি। যথা-


০১. শরীর পবিত্র থাকা:


নামায আদায়কারী ব্যক্তির শরীর অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। গোসল, ওযূ অথবা তায়াম্মুম করার মাধ্যমে শরীর পবিত্র করা সম্ভব। গোসল যদি ফরয হয়, তাহলে গোসল করে নিতে হবে। না হলে ওযু করে নিলে চলবে। আর যদি কেউ পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হয় কিংবা পানি না পাওয়া যায়, তাহলে তায়াম্মুম করেও শরীর পবিত্র করা যাবে।


০২. পোশাক পবিত্র থাকা:

নামায আদায়কারী ব্যক্তি যে পোশাক পরিধান করে নামায আদায় করবে তা অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। তবে যদি পবিত্র পোশাক না থাকে, তাহলে অপবিত্র পোষাকেও নামায আদায় হবে। তবে নামায আদায়কারী ব্যক্তিকে অবশ্যই সতর ঢাকতে হবে।


০৩. নামাযের স্থান পবিত্র হওয়া:

নামাযী ব্যক্তি যে স্থানে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে সে স্থান অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। অন্যথা নামায হবে না।


০৪. সতর ঢাকা:

সতর ঢেকে রাখতে হবে। পুরুষের সতর হলো নাভী হতে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত আর নারীর ক্ষেত্রে মুখমণ্ডল, হাতের কব্জী এবং পায়ের পাতা ব্যতীত সর্বাঙ্গ হচ্ছে সতর। এটা সর্বাবস্থায় ঢেকে রাখা ফরয।


০৫. নামাযের সময় হওয়া:

মহান আল্লাহ্ তায়ালা ওয়াক্ত মত নামায আদায় করা ফরয করে দিয়েছেন। যে নামাযের জন্য যে সময় নির্দিষ্ট আছে সেই সময়ের মধ্যে সেই নামায আদায় করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে আদায় করতে না পারলে সে নামায কাযা হিসেবে সাথে সাথে আদায় করতে হবে। আর সময়ের আগে নামায পড়া জায়েয না।


০৬. কেবলামুখী হওয়া:

বাইতুল্লাহ তথা কাবা ঘরকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের জন্য কেবলা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং কাবার দিকে মুখ করে নামায আদায় করা ফরয। যদি কোন ভয় বা সমস্যা থাকে তাহলে প্রয়োজনে অন্য দিকে মুখ করেও নামায আদায় করা যাবে। যদি অচেনা কোন জায়গায় গিয়ে কেবলা ঠিক করা সম্ভব না হয় তাহলে কারো কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। যদি লোক না পাওয়া যায়, তাহলে চিন্তা ভাবনা করার পর মন যে দিকে সাক্ষ্য দেয়, সে দিকে ফিরে নামায আদায় করতে হবে।


০৭. নিয়ত করা:

নামাযের জন্য নিয়ত করা মহান আল্লাহ পাক আমাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। যে সময় যে নামায আদায় করতে হবে, সে সময় সে নামাযের নিয়ত করতে হবে। নিয়ত মনে মনে করা ফরয আর মুখে উচ্চারণ করা মুস্তাহাব। উচ্চারণ করে নিয়ত করা ভাল।