
১
১. নিয়ত তৈরি করুন
নামাজ পড়ার আগে মন দিয়ে আল্লাহর কাছে নামাজের উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে। মনোযোগ সহকারে নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে।
উদাহরণ: ""আমি দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি আল্লাহর জন্য”। প্রাথমিক নিয়ত করে নামাজ শুরু করতে হয়। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ, ৭৫৮)
উদাহরণ: ""আমি দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি আল্লাহর জন্য”। প্রাথমিক নিয়ত করে নামাজ শুরু করতে হয়। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ, ৭৫৮)

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
কিবলামুখী হয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠান এবং বলুন,
আরবিঃ ٱللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর।
আপনার নামাজ এখান থেকে শুরু হল।
আরবিঃ ٱللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর।
আপনার নামাজ এখান থেকে শুরু হল।

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
শব্দ করে সূরা-তাকবির বলবেন না, বরং নিঃশব্দে পড়বেন। নামাজের শুরুতে হাত উঠানোর সময় মহিলারা দুই হাত ওড়নার বাইরে বের করবেন না। হাত উঠানোর সময় কাঁধের ওপরে উঠাবেন না। বুকের ওপর হাত বাঁধবেন। ডান হাত দিয়ে বাম হাত জড়িয়ে ধরবেন না বরং বাম হাতের পিঠের ওপর ডান হাত রেখে দিবেন।
তাকবীরে তাহরীমা এরপরেই পড়ুন সানা
আরবি:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَاظَمَ جَدُّكَ وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ
বাংলা উচ্চারণ:
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
বাংলা অর্থ:
আপনি পবিত্র, আল্লাহ! আপনার সকল প্রশংসা আপনিই, আপনার নাম অতি বরকতময়, আপনার গুণ ও মহিমা অতুলনীয়, আর আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
এবার যথাক্রমে তাকবীরঃ আল্লাহু আকবর,
তা’য়াউজঃ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশইত্বানির রাজীম
তাসমিয়াহ্ঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সুরা ফাতিহা পড়া ফরজ। (কুরআন: ১:১-৭) প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহ) পড়ুন এবং অন্য ১১৩ টি সূরার যে কোনও একটি তেলাওয়াত করুন |
তাকবীরে তাহরীমা এরপরেই পড়ুন সানা
আরবি:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَاظَمَ جَدُّكَ وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ
বাংলা উচ্চারণ:
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
বাংলা অর্থ:
আপনি পবিত্র, আল্লাহ! আপনার সকল প্রশংসা আপনিই, আপনার নাম অতি বরকতময়, আপনার গুণ ও মহিমা অতুলনীয়, আর আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
এবার যথাক্রমে তাকবীরঃ আল্লাহু আকবর,
তা’য়াউজঃ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশইত্বানির রাজীম
তাসমিয়াহ্ঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সুরা ফাতিহা পড়া ফরজ। (কুরআন: ১:১-৭) প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহ) পড়ুন এবং অন্য ১১৩ টি সূরার যে কোনও একটি তেলাওয়াত করুন |

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
রুকুতে সম্পূর্ণ নত হতে হবে না। বরং সামান্য নত হতে হবে, হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছবে। রুকুতে হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে হাঁটু ধরবেন না বরং আঙ্গুলগুলো পরস্পর মিলিতভাবে হাঁটুর ওপর রেখে দিবেন।
রুকুর দোয়াঃ
আরবিঃ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: ""সুবহানা রব্বি আল-আযীম।""(৩ বার)
অর্থ: আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি |
রুকুতে এই দোয়া পড়া সঠিক। এটি ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ বা আরও বেশি বার পাঠ করুন। এটি একটি বিজোড় সংখ্যা হতে হবে। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ)
রুকুর দোয়াঃ
আরবিঃ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: ""সুবহানা রব্বি আল-আযীম।""(৩ বার)
অর্থ: আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি |
রুকুতে এই দোয়া পড়া সঠিক। এটি ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ বা আরও বেশি বার পাঠ করুন। এটি একটি বিজোড় সংখ্যা হতে হবে। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ)

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
এবার উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান
আপনি যখন স্থায়ী অবস্থানে ফিরে আসবেন, আপনার হাত উপরে উঠিয়ে বলুন–
এক্ষেত্রেও হাত উঠা বা না উঠা উভয়ই ঠিক।
দোয়াঃ
আরবিঃ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: সামিয়া আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রব্বানা লাকাল হামদ। | (বুখারী,মুসলিম )
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তা শুনে থাকেন |
রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এই দোয়া পড়ুন: সামিয়া আল্লাহু লিমন হামিদাহ, রব্বানা লাকাল হামদ।
কেবল ইমামের জন্য এবং যদি আপনি একা নামায আদায় করেন। আপনার হাত নিচে নামান এবং বলুন
দোয়া:
উচ্চারণ: রাব্বানা লাকাল হামদু হামাদান কাসীরান তাইয়িবান মুবারাকান ফীহ্ |
অর্থ: হে আমাদের পরওয়ার দিগার ! তোমারই জন্যে বহু পবিত্র প্রশংসা রয়েছে, যার মধ্যে বরকতও নিহিত আছে |
আপনি যখন স্থায়ী অবস্থানে ফিরে আসবেন, আপনার হাত উপরে উঠিয়ে বলুন–
এক্ষেত্রেও হাত উঠা বা না উঠা উভয়ই ঠিক।
দোয়াঃ
আরবিঃ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: সামিয়া আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রব্বানা লাকাল হামদ। | (বুখারী,মুসলিম )
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তা শুনে থাকেন |
রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এই দোয়া পড়ুন: সামিয়া আল্লাহু লিমন হামিদাহ, রব্বানা লাকাল হামদ।
কেবল ইমামের জন্য এবং যদি আপনি একা নামায আদায় করেন। আপনার হাত নিচে নামান এবং বলুন
দোয়া:
উচ্চারণ: রাব্বানা লাকাল হামদু হামাদান কাসীরান তাইয়িবান মুবারাকান ফীহ্ |
অর্থ: হে আমাদের পরওয়ার দিগার ! তোমারই জন্যে বহু পবিত্র প্রশংসা রয়েছে, যার মধ্যে বরকতও নিহিত আছে |

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
জড়োসড়ো হয়ে সিজদা করবেন। কোমর উঁচু করে রেখে সিজদা করবেন না। সিজদাতে পেট উরুর সঙ্গে লাগিয়ে রাখবেন। কনুই মাটিতে বিছিয়ে রাখবেন। বাহু শরীরের সঙ্গে লেগে থাকবেন। হাঁটুর কাছাকাছি সিজদা করবেন। দু’পা ডান দিকে বের করা থাকবে। বলুন, ""আল্লাহু আকবর"" এবং সিজদাহ এ যান।
সিজদার দোয়াঃ
আরবিঃ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
উচ্চারণ: সুবহা-না রাব্বিয়াল আ-লা | (তিরমিযী )
অর্থ: আমি আমার সর্বোচ্চ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি |
এটি ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ বা আরও বেশি বার পাঠ করুন। এটি একটি বিজোড় সংখ্যা হতে হবে।
সিজদায় এই দোয়া পড়া ফরজ। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ)
সিজদার দোয়াঃ
আরবিঃ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
উচ্চারণ: সুবহা-না রাব্বিয়াল আ-লা | (তিরমিযী )
অর্থ: আমি আমার সর্বোচ্চ প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি |
এটি ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ বা আরও বেশি বার পাঠ করুন। এটি একটি বিজোড় সংখ্যা হতে হবে।
সিজদায় এই দোয়া পড়া ফরজ। (হাদিস: সুনানে আবু দাউদ)

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
সিজদাহ থেকে উঠুন এবং কিছুক্ষনের জন্য বসুন এবং নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়ুন-
দুই সিজদার মধ্যবর্তী দোয়াঃ
আরবিঃ اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজ্বুরনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ-ফেনী ওয়ারঝুক্বনী | (তিরমিযী, আবু দাউদ )
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রূযী দান করুন’।
সিজদাহ থেকে উঠুন ও দাঁড়ানো অবস্থানে ফিরে আসুন। সিজদাহ থেকে ফিরে এসে আগের দাঁড়ানো অবস্থানে ফিরে যান এবং আল্লাহু আকবর বলুন।
আপনি সবেমাত্র ১০ ধাপে প্রথম রাকাত শেষ করেছেন। একইভাবে আপনি যখন দ্বিতীয় রাকাতের শেষে পৌঁছবেন তখন ফিরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে আপনি বসে পড়ুন এবং তাশাহুদ করুন।
দুই সিজদার মধ্যবর্তী দোয়াঃ
আরবিঃ اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজ্বুরনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ-ফেনী ওয়ারঝুক্বনী | (তিরমিযী, আবু দাউদ )
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রূযী দান করুন’।
সিজদাহ থেকে উঠুন ও দাঁড়ানো অবস্থানে ফিরে আসুন। সিজদাহ থেকে ফিরে এসে আগের দাঁড়ানো অবস্থানে ফিরে যান এবং আল্লাহু আকবর বলুন।
আপনি সবেমাত্র ১০ ধাপে প্রথম রাকাত শেষ করেছেন। একইভাবে আপনি যখন দ্বিতীয় রাকাতের শেষে পৌঁছবেন তখন ফিরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে আপনি বসে পড়ুন এবং তাশাহুদ করুন।

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
বৈঠকের সময় বাম নিতম্বের উপর বসা। এবং উভয় পা ডান দিকে দিয়ে বের করে কিবলামুখী করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা। বৈঠকের সময় হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে হাঁটু বরাবর রাখা।
তাশাহুদ করুন।
প্রতি দুই রাকাতের শেষে (মাগরিবের ফরয ও বিতরের শেষ রাকাত ব্যতীত) তাশাহুদ করতে হবে –
দোয়া আত্তাহিয়্য়াতু বা তশাহ্হুদঃ
اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ্ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু।
অনুবাদঃ যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল’ (বুখারী, মুসলিম)
এটি যদি আপনার শেষ রাকাত হয়ে থাকে তাহলে এবার নিচের স্টেপ গুলো অনুসরণ করুন অন্যথায় উঠে দাঁড়িয়ে যান এবং বাকি রাকাত সম্পূর্ণ করুন।
শুধুমাত্র শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু এর পরে দরূদ, মাসুরাঃ পড়ুন এবং সালাম ফিরান |
দরূদঃ
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লায়তা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা বা-রকতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত’।
দো‘আয়ে মাছূরাহঃ
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدَكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরাঁও অলা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম’।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ’তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’।
তাশাহুদ করুন।
প্রতি দুই রাকাতের শেষে (মাগরিবের ফরয ও বিতরের শেষ রাকাত ব্যতীত) তাশাহুদ করতে হবে –
দোয়া আত্তাহিয়্য়াতু বা তশাহ্হুদঃ
اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ্ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু।
অনুবাদঃ যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল’ (বুখারী, মুসলিম)
এটি যদি আপনার শেষ রাকাত হয়ে থাকে তাহলে এবার নিচের স্টেপ গুলো অনুসরণ করুন অন্যথায় উঠে দাঁড়িয়ে যান এবং বাকি রাকাত সম্পূর্ণ করুন।
শুধুমাত্র শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু এর পরে দরূদ, মাসুরাঃ পড়ুন এবং সালাম ফিরান |
দরূদঃ
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লায়তা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা বা-রকতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইবরা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত’।
দো‘আয়ে মাছূরাহঃ
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدَكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরাঁও অলা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম’।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ’তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’।

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
আপনার ডান দিকে কাঁধ পর্যন্ত মুখ ঘুরিয়ে সালাম দিন:
সালাম ফিরাবার দোয়াঃ
আরবিঃ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )
সালাম ফিরাবার দোয়াঃ
আরবিঃ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )

১
১. নিয়ত তৈরি করুন
এবং তারপরে বাম দিকে কাঁধ পর্যন্ত মুখ ঘুরিয়ে আবার বলুন:
সালাম ফিরাবার দোয়াঃ
আরবিঃ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )
এখানে আপনার নামাজ শেষ হল।
সালাম ফিরাবার দোয়াঃ
আরবিঃ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ
উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ | (আবু দাউদ )
এখানে আপনার নামাজ শেষ হল।