এক আওয়াজে অথবা একজনের বলার পর সকলের সমস্বরে বলা থেকে বিরত থাকা। অনেকে মনে করেন যাদের নামে কোরবানি করা হয়, তাদের সবার তাকবির বলা আবশ্যক। এক জনও তাকবির না বললে কারো কোরবানি হবে না। এটা ভুল ধারণা। বরং যে পশু জবাই করবে তার জন্য তাকবির বলা আবশ্যক।
[ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৫৪০]
গান শোনা, ফিল্ম দেখা, নারী-পুরুষের সাথে মেলামেশা করা ইত্যাদি পরিত্যাগ করা। এগুলো এখন অনেকটা রিতি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে । আমাদের দেশের যুবসমাজ এখন ব্যস্ত থাকে চাঁদ রাতে গানের পার্টি, ছবি দেখার পার্টি, বিভিন্ন এলাকার বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে । সবাই দয়া করে এই সব গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকুন । আপনার আশেপাশের বাড়িতে যদি এমনটি হতে থাকে তাহলে তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন। ঈদ অত্যন্ত পবিত্র ইবাদত, এখানে নাচ গানের আড্ডায় মেতে উঠা ত্যাগ করা উচিত।
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليكون أقواما من أمتي يستحلون الحر والحرير والخمر والمعازف ». رواه البخاري تعليقا بصورة الجزم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমার উম্মতের মাঝে এমন একটা দল পাওয়া যাবে যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল [বৈধ] মনে করবে
[সহীহ বুখারি: ৫৫৯০]
কোরবানি করার পূর্বে চুল, নখ ইত্যাদি কর্তন করাঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানি দাতাকে জিলহজ মাসের আরম্ভ থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
এমন খরচ করা, যার পিছনে কোন উদ্দেশ্য নেই, যার কোন ফায়দা নেই, আর না আছে যার কোন উপকার। আল্লাহ তাআলা বলেছেন -
وَلاَ تُسْرِفُواْ إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُسْرِفِين الأنعام
অর্থ:
আর তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে ভালবাসেন না।
[আল আনআম - ১৪১]
কবর যিয়ারত করা শরিয়ত সমর্থিত একটি নেক আমল। কিন্তু ঈদের দিনে কবর জিয়ারত করার কোনো বিশেষত্ব নেই। ঈদের দিন কবর যিয়ারত করাতে বিশেষ সাওয়াব আছে বলে বিশ্বাস করা বা ঈদের দিনে কবর যিয়ারতকে অভ্যাসে পরিণত করা বা একটা প্রথা বানিয়ে নেয়া শরিয়তসম্মত নয়।
«لا تجعلوا قبري عيداً »... [رواه أبو داود و صححه الألباني
তোমরা আমার কবরে ঈদ উদযাপন করবে না বা ঈদের স্থান বানাবে না।
[আবু দাউদ: ২০৪২]